বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

সিরাতে রাসুল (সঃ) এর সাথে চাচা আবু তালিবের একটা ঘটনা আমার কাছে বেশ ইমুশনাল লাগে। রাসুল (সঃ) যখন প্রকাশ্যে দ্বীনের দাওয়াত দেওয়া শুরু করলেন তখন স্বভাবতই মক্কার মুশরিকরা ইসলাম এবং এর অনুসারীদের দমন পীড়ন শুরু করল। তাদের মূল লক্ষ্য ছিল রাসুল (সঃ) কে এই কাজ থেকে বিরত রাখা। আর এদিকে রাসুল (সঃ) কে প্রোটেকশন দিচ্ছিলেন উনার চাচা আবু তালিব। মুশরিকরা আবু তালেবের কাছে প্রতিনিধি দল পাঠালেন যাতে আবু তালিব রাসুল (সঃ) কে প্রোটেকশন দেওয়া বন্ধ করেন। এতে ব্যর্থ হয়ে তারা এবার আবু তালিবকে হুমকি ধামকি দেওয়া শুরু করল। তারা বলল, ‘আপনি তাঁকে বিরত রাখুন। নয়তো আমরা আপনার ভ্রাতুষ্পুত্রের সাথে এমন লড়াই বাঁধিয়ে দেবো যাতে এক পক্ষ নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে”। এই হুমকিতে আবু তালিব প্রভাবিত হন এবং ভ্রাতুষ্পুত্র রাসুল (সঃ) কে ডেকে বলেন, “তুমি এবার আমার ও তোমার নিজের প্রতি দয়া কর।

তুমি এমন বোঝা চাপিয়ে দিয়ো না যার ভার আমি বহন করতে পারব না”। এতে রাসুল (সঃ) বুঝতে পারলেন এবার চাচাও তাকে পরিত্যাগ করবেন। তাঁকে সাহায্য করার ব্যপারে তিনিও দুর্বল হয়ে পড়েছেন। রাসুল (সঃ) বললেন, ‘চাচাজান! আল্লাহ্‌র শপথ, আমার এক হাতে চন্দ্র আর আরেক হাতে সূর্য এনে দিয়ে কেউ এই কাজ ছেড়ে দিতে বললে, তবুও আমি তা ছাড়তে পারব না। হয়তো এই কাজে পূর্ণতা বিধান করে আমি একে বিজয়ী করবো অথবা এই পথে ধ্বংস হয়ে যাবো”। কথাগুলো বলতে গিয়ে আবেগের আতিশয্যে রাসুল (সঃ) এর চোখ সজল হয়ে উঠল। তিনি চলে যেতে থাকলে আবু তালিব তাঁকে ডেকে বলেন, যাও ভাতিজা তুমি যা চাও তাই হবে। আল্লাহ্‌র শপথ আমি কোন অবস্থাতেই তোমাকে ছেড়ে যাবনা। এরপর তিনি একটা কবিতা আবৃত্তি করেন,

“খোদার শপথ তোমার কাছে ওরা যেতে পারবে না তো দলে দলে
যতদিন না দাফন হব আমি মাটির তলে
বলতে থাকো তোমার কথা খোলাখুলি, করো না আর কোন ভয়
দু’চোখ তোমার শীতল হোক আর খুশী হোক তোমার হৃদয়”।

সুবাহানাল্লাহ! এই সেই আবু তালিব! মুসলিমদের ইতিহাসে সবচেয়ে দুর্ভাগাদের একজন যিনি হেদায়াতের সর্বোত্তম বাহক রাসুল (সঃ) কে এত কাছে পেয়েও আল্লাহ্‌র দ্বীন মেনে নেওয়ার সৌভাগ্য যার হয়নি। আবু তালিবের কাছ থেকে আমাদের একটা বিরাট lesson পাওয়ার আছে আর সেটা হল আমাদের যারা আল্লাহ্‌র দ্বীনের প্রতি অনুরক্ত এবং দ্বীন পালন করছেন সেটা সম্ভব হয়েছে শুধু এবং শুধুমাত্র আল্লাহ্‌র অশেষ রহমতে। লেখার শুরুতেই আবু তালিবের প্রসঙ্গ টেনে আনার কারণ হল আমাদের মুসলিমদের মধ্যে আমরা একটা বিরাট অংশ আছি যারা অন্যের কাজ নিয়ে হা হুতাশ করি। দ্বীনের দাওয়াতের কোন ফল না পেয়ে নিজেদেরকে ব্যর্থতায় পর্যবসিত করি। একটা পর্যায়ে টলারেন্স হারিয়ে যাদের দাওয়া দেওয়ায় কোন ফল আসেনি তাদের উপর চড়াও হই। খুবই দুঃখজনক এক বাস্তবতা। এমনটা ঘটে থাকে দ্বীনের দাওয়াতের প্রপার আন্ডারস্ট্যান্ডিং না থাকার ফলে।

আমাদের প্রথমে স্পষ্ট করে বুঝতে হবে একজন মুসলিম হিসেবে আমাদের responsibility আসলে কি অন্য মুসলিমের প্রতি? যুগে যুগে আল্লাহ তায়ালা নবী রাসুলদের পাঠিয়েছেন কি জন্য?? কুরআন খুলে দেখুন আল্লাহ বলছেন সূরা বাক্বারার প্রথমেই, “ এই সেই মহা গ্রন্থ আল কুরআন এতে কোন সন্দেহ নেই, মুত্তাকীদের জন্য পথপ্রদর্শক”। [বাক্বারাঃ ০২]। আল্লাহ কুরআনে রাসুলকে বলেছেন, “ভীতি প্রদর্শনকারী” বলেছেন “মানুষকে উপদেশ পৌঁছে দিতে”।

“কাজেই তুমি তাদেরকে উপদেশ দাও, তুমি একজন উপদেশদাতা মাত্র। তুমি তাদের উপর জবরদস্তিকারি নও। তবে কেউ কুফরি করলে এবং মুখ ফিরিয়ে নিলে। আল্লাহ তাঁকে মহাশাস্তিতে শাস্তি দিবেন। তাদেরকে আমার কাছেই ফিরে আসতে হবে। অতঃপর তাদের হিসাব নেওয়া তো আমারই কাজ”। [সূরা আল গাশিয়াহঃ ২১-২৬]

এখন চিন্তা করে দেখুন যে রাসুল (সঃ) সারা পৃথিবীতে ইসলামের সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করলেন তাঁকে আল্লাহ তায়ালা বলছেন তিনি একজন উপদেশদাতা মাত্র তাহলে আমরা কি এর চেয়ে বেশী কিছু হয়ে গেলাম কিংবা নিজেদের এর চেয়ে বেশী কিছু মনে করি? কখনই না এবং এটা সঙ্গতও নয়। প্রথম প্রথম দ্বীন ইসলামে প্রবেশ করে আমাদের সবার মধ্যে এক ধাক্কায় সবকিছু ঠিক করে ফেলার একটা tendency থাকে। আমরা রাতারাতি সারা পৃথিবীতে দ্বীন কায়েম করে ফেলার স্বপ্ন দেখি কিন্তু আমরা ভেবে দেখিনা আমরাও সদ্য জাহিলিয়াত থেকে উঠে এসেছি শুধু শুধুমাত্র আল্লাহ্‌র রহমতে। দুইদিন আগে যে কাজগুলো আমরা নিজেরাই করেছি জাহিলিয়াতের উন্মাদ রঙিন পর্দার আড়ালে দুইদিন পর অন্য কারো কাছে সেই কাজগুলো সহ্যই করতে পারিনা। ক্ষোভ ঝাড়া শুরু করি। হিজাবিরা নন হিজাবিদের উপর ক্ষোভ ঝাড়ে, দাড়িওয়ালারা ক্লিন শেভওয়ালাদের উপর ক্ষোভ ঝাড়ে, আর্লি ম্যারিজিরা লেট ম্যারিজিদের উপর ক্ষোভ ঝাড়ে, দীনী ছেলেমেয়েরা জাহেল বাবা মায়েদের উপর ক্ষোভ ঝাড়ে!

Dear brothers, দুইদিন আগেও আপনি তাদের একজন ছিলেন, আপনি কেন বুঝেন না আল্লাহ আপনাকে দ্বীনের যে আন্ডারস্ট্যান্ডিংটা দিয়েছেন সেটা তাদের মধ্যে অনুপস্থিত। আপনি তাদের নিয়ে হা হুতাশ করছেন আর আক্ষেপ করছেন কেন তারা বুঝতে চাইছেন না। আমরা ভুলে যাই আমরা সবাইই আল্লাহ্‌র পরিকল্পনার অংশমাত্র। রাসুল (সঃ) বলেছেন, আল্লাহ মানুষের মধ্য থেকে কারো কারো অন্তরকে বক্র করে দিবেন। আবার আল্লাহ কুরআনে সূরা মুহাম্মাদের ৩১ নং আয়াতে বলেছেন তিনি মুসলিমদের পরীক্ষা না করে ছেড়ে দিবেন না, তিনি তার বান্দাদের মধ্য থেকে ধৈর্যশীলদের চিনে নিবেন। তাহলে আমরা সিকুয়েন্সগুলো একটু মিলিয়ে দেখি_ আল্লাহ কিছু মানুষকে পথভ্রষ্ট করবেন আর কিছু মানুষকে হেদায়াত দিবেন, এর মধ্যে হেদায়াতপ্রাপ্তদের কাজ হল উপদেশদাতা, ভীতি প্রদর্শনকারী, আল্লাহ্‌র দ্বীনের সত্যবানী বাহকরুপে, আবার আল্লাহ সবাইকে ফিতনার মধ্যে ফেলে ধৈর্যশীল এবং মুজাহিদদের চিনে নিবেন।সুবাহানাল্লাহ exactly সেটাই। জাহিলিয়াতের এই স্বর্ণযুগে আমরা সবাই frequently ফিতনার মধ্যে আছি যার একটা ফিতনা হল দ্বীনের আন্ডারস্ট্যান্ডিং না থাকা মানুষগুলো। এখানে আমাদের প্রতি আল্লাহ্‌র পরীক্ষাটা হল আমরা এদেরকে কিভাবে হ্যান্ডল করি, তাদের প্রতি আমরা কিরকম আচরণ করি, এবং তাদের প্রতি দাওয়াতে ব্যর্থ হয়ে আমরা কিভাবে ধৈর্যধারণ করি।

কিন্তু আমাদের ভাবখানা এরকম থাকে যে দাওয়াত দেওয়ার অর্থ “তোরে হেদায়াত দিয়েই ছাড়ব”! আল্লাহ বলছেন, “যাকে ইচ্ছে তিনি হিকমাহ দান করেন এবং যে ব্যক্তি এই জ্ঞানপ্রাপ্ত হয়, নিঃসন্দেহে সে মহাসম্পদ প্রাপ্ত হয় এবং উপদেশ তারাই গ্রহণ করে যারা জ্ঞানী”। [সূরা বাক্বারাঃ ২৬৯] আবার আল্লাহ বলছেন “দ্বীনের মধ্যে জবসদস্তি নেই……”। [সূরা বাক্বারাঃ ২৫৬] ( বিঃদ্রঃ এই আয়াতটা আবার সেক্যুলারও নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করে, আশা করি আমি কোন সেন্সে বুঝাচ্ছি বুঝতে পারছেন।) আর তাই দ্বীনের দাওয়াকে “ না খেলে জোর করে খাওয়াবো” এই সেন্সে দেখলে ব্যাপারটা অন্যের জন্য তো বটেই নিজের জন্যও ক্ষতিকর। এক ব্যাপারটা ঘটে আমরা যখন দ্বীনে প্রবেশ করি তখন জাহেল যুগের প্রিয় মানুষগুলোকে খুব বেশী করে চাই তারা যেন দ্বীন বুঝে, তারা যেন ইসলাম পালন করে আপনার মত করে। তারা যেন জাহেল জীবন ছেড়ে দেয়, আমরা খুব বেশী করে চাই।

সে গান শুনছে কেন, মুভি দেখছে কেন, এখনো খেলাধুলার মত ফালতু জিনিস নিয়ে পড়ে আছে কেন, তার গার্লফ্রেন্ড আছে কেন, অমুক Islamist বোনটা ফেসবুকে নিজের ছবি আপলোড দেয় কেন, তাদের ফ্রেন্ডলিস্টে নন মাহরাম কেন, নন মাহরামের সাথে সে পর্দা ভঙ্গ করে মাখামাখি করছে কেন ব্লা ব্লা ব্লা আমাদের হাজারটা আক্ষেপ থাকে এবং মুসলিম ভাই বোনদের হেদায়াতের জন্য দরদ থাকাটা স্বাভাবিক। it should be! কিন্তু ব্যাপার যেটা তা হল আপনার চেষ্টা থাকবে, আপনার দরদ থাকবে কিন্তু আপনি তাদের সত্যের দলে ভেড়াতে ব্যর্থ হলে হা হুতাশ, আক্ষেপ, তাদের উপর চড়াও হয়ে অর্থহীন সময়ক্ষেপণ করতে পারেন না। চিন্তা করুন রাসুল (সঃ) কি খুব করে চাননি যেন তার চাচা ইসলাম গ্রহন করেন। মৃত্যুশয্যায় এটাও বলেছিলেন তিনি যেন শুধু “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” টুকু হলেও বলেন যাতে রোজ কেয়ামতে তিনি আল্লাহ্‌র কাছে শাফায়েত করতে পারেন। কিন্তু আবু তালিব সত্য গ্রহন করেননি, আল্লাহ চাননি বলে। বরং তার মৃত্যুর পর দুঃখভারাক্রান্ত রাসুল (সঃ) কে আল্লাহ শুনিয়েছেন কঠিন বাণী,

“আত্মীয়স্বজন হলেও মুশরিকদের জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা করা নবী এবং মুমেনদের জন্য সঙ্গত নয়, যখন এটা সুস্পষ্ট হয়ে গেছে যে ওরা জাহান্নামী”। [সূরা তাওবাঃ ১১৩]

“ তুমি যাকে ভালোবাসো ইচ্ছা করলেই তাঁকে সৎপথে আনতে পারবে না, তবে আল্লাহ যাকে ইচ্ছে সৎপথে আনেন এবং সৎপথ অনুসারীদের তিনিই ভালো জানেন”। [ সূরা আল কাসাসঃ ৫৬]


শেষকথাঃ

শয়তান খুব করে চাইবে আপনি অনর্থক সময় ব্যয় করুন আপনার মূল্যবান সময় থেকে। কাজের চেয়ে অকাজে আপনাকে ব্যস্ত রাখাটা শয়তানের সুপরিকল্পিত কাজ। আপনি মানুষকে, আপনার পরিবার, আত্মীয়স্বজন, প্রিয় বন্ধুদের সত্যের পথে আহবান জানাবেন সততা এবং হিকমাহ দ্বারা কিন্তু তাদের হেদায়াতের দায় আপনার উপর বর্তায় না!

আপনি যেটা করতে পারেন দুইটা বিষয় নিশ্চিত হয়ে আপনার কাজটুকু করে যেতে পারেন। প্রথম বিষয়টা হল আপনার কাছে যে ইসলামটুকু পৌঁছেছে সে বিষয়ে আপনি নিশ্চিত কিনা কিংবা আল্লাহ্‌র প্রতি সততা রেখে সেটাই আপনি হক্ব হিসেবে গ্রহণ করেছেন কিনা । আর দ্বিতীয় বিষয়টা হল আপনার অন্তরের বিশ্বাসের সাথে আপনার ডেটিকেশন শতভাগ কিনা! মহান আল্লাহ এবং তার রাসুল (সঃ) এর প্রতি সততার মানদণ্ডে কাজ করে গেলে ইনশাআল্লাহ আল্লাহ কোন না কোন উছিলায় আপনাকে দিয়ে তার কাজ করিয়ে নেবেন। ইসলাম যদি একটা ট্রেন হয় তাহলে আমরা সবাই এই ট্রেনের যাত্রী। আমরা সবাই মনে প্রাণে চাই আল্লাহ আমাদের সবাইকে কবুল করে নিন। তবে এটাও আমাদের মাথায় রাখা জরুরী আল্লাহ্‌র দ্বীন যেমন কারো জন্য অপেক্ষা করবে না তেমনি আপনার ভালো কাজ, বিশুদ্ধ চিন্তাগুলোও কারো জন্য আটকে রাখা সঙ্গত নয়। এটা সঙ্গত নয় অন্যের হেদায়াতের দায়ভার নিজের কাঁধে নিতে যাওয়া। সঙ্গত নয় “student of knowledge” হওয়ার আগে “শায়খ” এর কাজ শুরু করে দেওয়া! সঙ্গত নয় দাওয়াই ব্যর্থ হয়ে কারো উপর চড়াও হয়ে ইসলাম সম্পর্কে তার কাছে ভুল মেসেজ পৌঁছানো। এটা সঙ্গত নয় ভালো কাজের নিয়্যতে রিয়া যোগ করে আমলকে অর্থহীন করে ফেলা। আপনার জন্য এটাও সঙ্গত নয় শয়তানের সুড়সুড়িতে বিপরীত লিঙ্গের হেদায়াতের ‘মহাদায়িত্ব” নিতে গিয়ে ফিতনায় জড়িয়ে লজ্জাজনক দৃষ্টান্ত স্থাপন করা। আপনি চাইলেই সবাই আপনার অনুসরণ করা মানহাজ মেনে নিবেনা যদি আল্লাহ ইচ্ছে না করেন।

আন্তরিক চেষ্টা, বুক ভরা দরদ, আল্লাহ্‌র সাহায্যের জন্য পুনঃ পুনঃ প্রার্থনা আর সবকিছুর মোহ ছেড়ে শুধুমাত্র মহান আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টিই পারে আপনার আমার কাজগুলো আল্লাহ্‌র কাছে কবুল করিয়ে নিতে। ধৈর্য, তাক্বওয়া, ইখলাসের সাথে কাজ করে যাওয়াই মুসলিমের দায়িত্ব আর ফলাফলকেন্দ্রিক কাজে বিফল হয়ে কাঙ্ক্ষিত ফলাফলের অপ্রাপ্তিতে হা হুতাশ, আক্ষেপ করে নিজের ঈমানকে ক্ষতিগ্রস্ত করাটা শয়তানের কাছে নিজের নফসকে সঁপে দেওয়ার মত। সবশেষে কুরআনের দুইটা আয়াত দিয়ে শেষ করি ইনশাআল্লাহ,

“অতএব, আপনি মৃতদেরকে শোনাতে পারবেন না এবং বধিরকেও আহবান শোনাতে পারবেন না, যখন তারা পৃষ্ঠ প্রদর্শন করে। আপনি অন্ধদেরও তাদের পথভ্রষ্টতা থেকে পথ দেখাতে পারবেন না। আপনি কেবল তাদেরই শোনাতে পারবেন, যারা আমার আয়াতসমূহে বিশ্বাস করে। কারন তারা মুসলমান” [সূরা আর রুমঃ ৫২-৫৩]

“যাকে মন্দকর্ম শোভনীয় করে দেখানো হয়, সে তাকে উত্তম মনে করে, সে কি সমান যে মন্দকে মন্দ মনে করে। নিশ্চয় আল্লাহ যাকে ইচ্ছা পথভ্রষ্ট করেন এবং যাকে ইচছা সৎপথ প্রদর্শন করেন। সুতরাং আপনি তাদের জন্যে অনুতাপ করে নিজেকে ধ্বংস করবেন না। নিশ্চয়ই আল্লাহ জানেন তারা যা করে” [সূরা ফাতিরঃ ০৮]

বিঃদ্রঃ আমার একটা বদঅভ্যাস আছে। একটা ছোট বিষয়কে বড় করে অনেক দূর নিয়ে যাই। কুরআনের এই আয়াতগুলো লিখতে গিয়ে অনেক কথা বলে ফেলেছি। আমার সবকথা ঠিক হবে কিংবা আমার সব কনসেপ্ট শুদ্ধ হবে এমনটা মনে করার কোন কারণ নেই। এই লেখায় ভালো কিছু থাকলে সেটা মহান আল্লাহ্‌র পক্ষ থেকে আমার আর আপনাদের জন্য রহমত স্বরূপ আর ভুল কিছু থেকে থাকলে সেটা আমার আর শয়তানের পক্ষ থেকে। আল্লাহ ক্ষমা করুন। আল্লাহ আমাদের সবাইকে সিরাত্বাল মুস্তাকিম দান করুন। আসসালামুয়ালাকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ