নীচের ঘটনাগুলো লক্ষ্য করুন তো, দেখুন তো এদের মাঝে কোন সাদৃশ্য খুঁজে পান কিনা?

১. একদিন একটি কুকুর (অস্থিরভাবে) চারদিকে ঘুরছিলো। কুকুরটির পিপাসায় মরে যাবার উপক্রম হচ্ছিল। এমন সময় বনী ইসরাইলের এক ব্যভিচারী নারী তাকে দেখতে পেলো। সে নিজের মোজা খুলে কূয়া থেকে পানি তুলে কুকুরটিকে পান করালো এবং এ জন্যে তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হলো। (বুখারি)

২. এক লোক রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলো। এমন সময় তার খুব তৃষ্ণা লাগলো। সে একটি (অগভীর) কূয়া দেখতে পেলো। লোকটি তাতে নেমে পানি পান করে বেরিয়ে এসে দেখলো, একটি কুকুর পিপাসায় অস্থির হয়ে জিহ্বা বের করছে এবং ভেজা মাটি চাটছে। লোকটি ভাবলো, আমি যেমন পিপাসার্ত হয়েছিলাম, তেমনি এ কুকুরটিও পিপাসায় কাতরাচ্ছে। তাই সে কূয়ায় নেমে তার মোজায় পানি ভরে নিজের মুখ দিয়ে ধরে কুয়া থেকে উঠে এলো। তারপর সে কুকুরটিকে পানি পান করিয়ে তাকে তৃপ্ত করলো। এতে আল্লাহ তার প্রতি দয়া প্রদর্শন করলেন এবং তার গুনাহসমূহ মাফ করে দিলেন। (বুখারি,মুসলিম)

৩. রাসূল (সাঃ) বলেন, ‘আমি জান্নাতে একজন পুরুষকে খুশিতে গড়াগড়ি খেতে দেখেছি, কারণ সে চলার পথের একটা গাছ কেটে ফেলেছিলো যা মুসলিমদের কষ্ট দিতো।’

৪. একবার একজন মানুষ হাঁটছিলো। পথিমধ্যে সে গাছের একটা কাঁটা দেখতে পেলো। লোকটা মনে মনে বললো, ‘আমি এই কাঁটাটা সরিয়ে ফেলবো, হতে পারে এটা কোনো মুমিন ব্যক্তিকে কষ্ট দিতে পারে।’ শুধু এই ভালো কাজটির কারণে আল্লাহ তাকে জান্নাতে প্রবেশ করালেন।

৫. উহুদ যুদ্ধের দিন। মুসলিমরা মারাত্নকভাবে বিপর্যস্ত। মুসলিমরা উহুদ পাহাড়ে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করছে। রাসূল (সা) এতোটাই আহত, ক্লান্ত ও বিপর্যস্ত ছিলেন যে উনার পক্ষে পাহাড়ে উঠা সম্ভব হচ্ছিল না। তালহা ইবনে উবাইদা (রা) এটা দেখতে পেলেন এবং রাসূল (সা)-কে কাঁধে তুলে নিলেন। রাসূল(সা) যখন তালহা(রা) এর কাঁধে পা দিলেন তখন তিনি বললেন, ‘তালহা নিজের জন্য জান্নাত ওয়াজিব করে নিলো।’


এখানে পাঁচটি আলাদা ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে, পাঁচজন আলাদা লোক সম্পর্কে, যেগুলো পাঁচটি আলাদা সময়ে হয়েছিলো। কিন্তু পাঁচটি ঘটনার একটা কমন থিম রয়েছে। সেটা হচ্ছে- জান্নাতে যাবার উপায় সবসময়ই আমাদের কাছে যেরকম মনে হয় তা না-ও হতে পারে। একইভাবে যেসব কাজগুলো মানুষকে জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচাবে, তা যে খুব বড় কিছু হবে এমনও কথা নেই। সেই পতিতা মেয়ে কি স্বপ্নেও ভাবতে পেরেছিলো যে শুধু একটা কুকুরকে পানি পান করানোর কারণে তার সকল গুনাহ মাফ হবে? যে লোকটা পথ থেকে কাঁটা সরিয়েছিলো সে-ও হয়তো ভুলেও ভাবেনি যে এই কাজের কারণেও ওই দিনটা তার সবচেয়ে খুশির দিন হবে। কারণ ওই দিনেই তার গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়েছিলো। সে হয়তো এই দিনটা সম্পর্কে ভুলেও গিয়েছিলো, কিন্তু আল্লাহর কাছে এই কাজটা অনেক বড় ছিলো যার কারণে তার গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়েছিলো। তালহা (রা)-ও হয়তো কখনো ভাবেননি শুধু রাসূল (সা)-কে কাঁধে তুলে নেওয়ার কারণেই আল্লাহ তাঁকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।

তাই অনেক সময়ই এমন হয় যে, আমাদের চোখে যে কাজগুলি খুব ছোট সে কাজগুলির কারণেই আমাদের গুনাহ মাফ হয়ে যায়। এটা তখনই হয় যখন আল্লাহ তা’আলা আমাদের কাজের মাঝে ‘Sincerity’ বা নিষ্ঠা লক্ষ্য করেন।


আরেকটা গল্প বলি। কিয়ামতের দিন একজন লোকের ভালো ও খারাপ কাজের হিসাব নেওয়া হবে। একপাশে ভালো কাজ আর আরেকপাশে খারাপ। তার খারাপ কাজগুলো এতোই যে সেগুলোর জন্য বইয়ের উপর বই স্তূপ হয়ে যাবে। দিগন্তের যেখানেই তাকানো যাবে সেখানেই তার এই খারাপ আমলনামার কিতাব দেখা যাবে। আকাশের নিচে যত গুনাহ করা যায়, তার সবই এই লোকটা করেছে। ৯৯ টা কিতাব খোলা হবে, যেগুলোর প্রত্যেকটার আকার এতোটাই বড় হবে, যতদূর দু’চোখ যায় তা দেখা যাবে। এই কাজগুলো মিযানের একপাশে রাখা হবে। পাপের ভারে তা একেবারে নিচে নেমে আসবে। আল্লাহ তাকে জিজ্ঞেস করবেন, ‘তোমার কি কোনো অজুহাত আছে?’

লোকটা জবাব দিবে, ‘না! আমার কোনোই অজুহাত নেই।’

আল্লাহ তা’আলা জিজ্ঞেস করবেন, ‘তোমার কি এমন কোনো ভালো কাজ আছে যা আমি অপরপাশে যোগ করিনি?’

লোকটি জবাব দিবে, ‘না! আমি নিজেকে জানি (আমি জানি আমি আসলে কী করেছি)।’

এই মুহূর্তে এটা পরিষ্কার হয়ে যাবে যে লোকটা জাহান্নামে যাচ্ছে। আল্লাহ তা’আলা তখন বলবেন, ‘আমি হচ্ছি সবচেয়ে ন্যায়বিচারক। একটা ভালো কাজ আছে যেটা তুমি ভুলে গেছো।’ তখন একটা ছোট্ট বই, অনেকটা ছোট্ট কার্ডের মতো আনা হবে, যেটার মাঝে এই বাক্য লিখা থাকবে-‘আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লালাহ ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান রাসূলুল্লাহ।’ লোকটা বলবে, ‘এই ছোট্ট বই, অপরপাশের পাহাড়সম গুনাহ মোকাবেলায় কী আর করতে পারবে?’ আল্লাহ তখন বলবেন, ‘এটা অবশ্যই অপরপাশে রাখতে হবে, কারণ আমি হচ্ছি সর্বশ্রেষ্ঠ ন্যায়বিচারক।’

তাই ফেরেশতারা এই ছোট্ট বইটা ডানপাশে রাখবে আর তখন ডানপাশের স্কেলটা একদম নিচে নেমে আসবে আর অপরপাশের গুনাহসমূহ একদম আকাশে উড়ে যাবে। আর তাই লোকটাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে। রাসূল (সা) বলেন, ‘আল্লাহ তা’আলার নাম থেকে কোনো কিছুই অধিক ভারী নয়।’


তার মানে কি এই যে, আমরা আমাদের জীবনে যত ইচ্ছা খারাপ কাজ করবো আর শুধু শাহাদাহর কারণে আমাদের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে? এর উত্তর দিয়েছেন ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রহ) তাঁর বই ‘মিনহাজুস সুন্নাহ ওয়ান নববী’-তে। তিনি বলেন, “কারণ এই লোকটা ‘লা ইলাহা ইল্লালাহ’ অনেক একাগ্রতার সাথে বলেছিলো, তাই তার গুনাহ মাফ করা হয়েছিলো। আমরা জানি কিয়ামতের দিন এমন অনেক মুসলিম থাকবে যারা অনেক কবীরা গুনাহ করেছে আর তারা ‘লা ইলাহা ইল্লালাহ’-ও বলেছে কিন্তু তাদের গুনাহ মাফ করা হবে না, বরং তাদের জাহান্নামে প্রবেশ করানো হবে।” তাহলে কি এখানে কন্ট্রাডিকশন রয়েছে? না! বরং পূর্বোক্ত লোক ‘লা ইলাহা ইল্লালাহ’ তার অন্তর দিয়ে বলেছিলো আর এতে অনেক নিষ্ঠা ছিলো। আর এই কারণেই ভালো কাজটি আমলনামায় এতো ভারী ছিল।


ইবনে তাইমিয়া (রহ) আরো বলেন, ‘যখন সেই পতিতা কুকুরটাকে পানি পান করিয়েছিলো, তখন শুধু এই পানি পান করানোর কারণেই তার সকল গুনাহ মাফ করা হয়নি। সব পতিতা যদি কুকুরকে পানি পান করায়, তাহলে কি তাদের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে? কখনোই না! বরং এই মহিলার গুনাহ মাফ করা হয়েছিলো, কারণ তার হৃদয়ে আল্লাহর প্রতি অটুট বিশ্বাস ছিলো, আর সে তার কাজে ছিলো অসম্ভব নিষ্ঠাবান। ইসলামে কখনোই বাহ্যিকতা দেখে আমল বিচার করা হয় না, বরং তা বিচার করা হয় অন্তরের একাগ্রতা দিয়ে।’


শাইখ মুহাম্মাদ মুখতার আল শানকিতিকে কমবেশি সবাই চেনেন। তিনি খুব বিখ্যাত। শুক্র-শনিবারে মসজিদুন নববীতে দরস দেন। একজন তালীবুল ইলমের জবান থেকে অন্য একটি ঘটনা শোনা যাক। ওই ছাত্র বলেছেন, “হে লোকসকল! তোমরা বিশ্বাস করবে না, আমি গত হাজ্জের মৌসুমে কী দেখেছি! তখন আকাশে গনগনে সূর্য ছিলো। আমি একজন লোককে দেখলাম যিনি রাস্তার একপাশে দাঁড়িয়ে মানুষকে অরেঞ্জ জুস দিচ্ছেন। তাঁর মুখ চাদর দিয়ে ঢাকা ছিলো। তাঁকে কেউই চিনতে পারছিলো না। আমি তাঁর চোখ দেখে বুঝতে পারলাম, আমি আগে কোথাও এই চোখ দুটি দেখেছি। আমি তাঁর কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, ‘শাইখ মুহাম্মদ! এটা কি আপনি?’ লোকটা মুখ ঘুরিয়ে নিলো। আমি আবার এসে বললাম,’শাইখ মুহাম্মাদ আল শানিকিতি! এটা কি আপনি?’ তিনি তাঁর মুখের চাদর সরিয়ে ফেললেন। আর দেখা গেলো এটা তিনিই। তখন শাইখ বললেন, ‘হে আমার ছেলে! জানি না আমাদের কোন ভালো কাজ আমাদেরকে বাঁচাবে!’

তিনি কিন্তু বললেনি, ‘আমার ইউটিউব ভিডিও আছে, যেটার হাজার হাজার লাইক আছে, সেটাও আমাকে বাঁচাবে।’ তিনি এটাও বলেননি, ‘আমার ক্লাসে হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত হয়, হয়তো এটাই আমার জন্য যথেষ্ট হবে।’ বরং আশা করেছেন, হয়তো এই ছোট্ট অরেঞ্জ জুসটাই তাঁকে বাঁচাবে যদি আল্লাহ তাঁর মাঝে নিষ্ঠা দেখতে পান।


সবশেষে আরেকটা ঘটনা উল্লেখ করছি:

আবু মুসা আল আশআরী (রহ) তাঁর মৃত্যুশয্যায় ছেলেকে বলেন, ‘ছেলে আমার! সবসময় একজন লোক ও তার পাউরুটির গল্পটা মনে রাখবে।’ গল্পটা এমন ছিলো-

একজন লোক ৭০ বছর টানা আল্লাহর ইবাদাত করেছিলো। সে সপ্তাহে একদিন বের হতো,। খাবার-পানীয় জোগাড় করতো, তারপর আবার ফিরে যেতো। তো একবার সে খাবারের জন্য বের হলো আর রাস্তার ধারে এক সুন্দরী মহিলাকে দেখতে পেলো। শয়তান তাকে ওয়াসওয়াসা দিলো। লোকটা মহিলার সাথে যোগাযোগ করলো। আর এভাবে সে ৭ রাত মহিলার সাথে একটানা যিনায় লিপ্ত হয়ে পড়লো। ৭ দিন পর যখন লোকটার মন থেকে পাপের মেঘ দূর হয়ে পড়লো, লোকটা বুঝতে পারলো সে কত বড় খারাপ কাজ করেছে। সে মহিলার ঘর থেকে বের হয়ে গেলেো। আর প্রতি পদক্ষেপেই সে সিজদা দিতে থাকলো। সে এভাবে হাঁটতে হাঁটতে একটি দোকানে গেলো আর সেখানে ১২ জন যুবক ছিলো। লোকটা সেখানে বসে পড়লো। এই ১২ জন যুবক প্রতিদিন এখানে বসতো আর একজন পরহেজগার লোক তাদের খাবার পাঠাতো। লোকটা তাদের ১২ টা পাউরুটি পাঠাতো।

ঘটনাক্রমে তাদের মাঝে আরেকজন যুক্ত হওয়ায় তারা ১৩ জন হয়ে গিয়েছিলো। তাই রুটি বণ্টনের সময় পূর্বোক্ত লোক না জেনে রুটি নেওয়াতে একটা রুটিতে কম পড়ে গেলো। তাই একজন লোক রুটি পেলো না। আর সে রুটিদানকারী লোকটাকে বললো, ‘আপনি কখনোই এমন করেননি।’

লোকটা উত্তর দিল, ‘তুমি কি বলতে চাচ্ছো?’

– আপনি আমাকে আজ রুটি দেননি।

– আমি ১২ টা রুটি দিয়েছি। তাই কেউ দুটো রুটি নিয়েছে কিনা জিজ্ঞেস করে দেখো।

দেখা গেলো কেউই দুটি রুটি নেয়নি। তাই রুটিদানকারী লোকটি বললো, তুমি আসলে আমাকে দোষ দিতে চাচ্ছো যে, আমি তোমার রুটি রেখে দিয়েছি। আমি আর কখনোই তোমাকে রুটি দিবো না।

যে ব্যক্তি যিনাহ করে সেখানে উপস্থিত ছিলো, সে এসব দেখতে পাচ্ছিলো। আর তার রুটিটার খুব প্রয়োজন ছিলো। তারপরেও সে এগিয়ে গিয়ে যে রুটিটা পায়নি তাকে তা দিয়ে দিলো আর সেখান থেকে চলে গেলো। পরের দিন তাকে মৃত পাওয়া গেলো।

তাকে আল্লাহর সামনে উপস্থিত করা হলো। আর মিযান এনে তার ভালো ও খারাপ কাজ মাপা হলো। তার ৭০ বছরের ইবাদত একপাশে আর ৭ রাতের যিনাহ অপরপাশে রাখা হলো। আর ৭ রাতের যিনাই বেশি ভারী হলো। তার মানে কি লোকটা জাহান্নামে যাবে? আর তখন আরেকটা ভালো কাজ যুক্ত করা হলো। আর সেটা হচ্ছে সে মুহূর্তটা যখন সে রুটিটা দিয়ে দিয়েছিলো তার যথাযোগ্য প্রাপককে। শুধু এর কারণেই ভালো আমলসমূহ ভারী হয়ে একেবারে নীচে নেমে এলো। ৭০ বছরের ইবাদত তাকে বাঁচাতে পারেনি বরং এক মুহূর্তের নিষ্ঠা তাকে বাঁচিয়েছিলো।


কিয়ামতের দিন আমাদের জন্য অনেক সারপ্রাইজ থাকবে। আমরা হয়তো দেখবো আমাদের অনেক ভালো কাজ মীযানের পাল্লায় তেমন ভারীই হচ্ছে না, কিন্তু ছোট ছোট কিছু ভালো কাজ অনেক ভারী হচ্ছে। আজীবন ধর্মীয় লেবাস পড়ে বড়াই করা লোকটার ভাগ্যে হয়তো জাহান্নাম জুটবে, অথচ সবার চোখে পাপী ও ঘৃণ্য লোকটা তার এক মুহূর্তের নিষ্ঠার মাধ্যমে আদায় করে নিয়েছে জান্নাত।

দিনশেষে আমরা আদৌ আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কাজ করছি কিনা তা ভাবা জরুরী। মানুষের জন্য কাজ করলে মানুষ একদিন মুখ ফেরাবেই। এ পৃথিবীর অধিকাংশ লোকই ভয়ানক রকমের স্বার্থপর আর অকৃতজ্ঞ। যারা তাদের রবের প্রতি অকৃতজ্ঞ তাদের জন্য কাজ করে আপনি কী আশা করতে পারেন? বরং শুধুই আল্লাহর জন্য কাজ করলে, অন্তরে আল্লাহকে স্মরণ রেখে কাজ করলে আল্লাহ সে কাজ কবুল করে নেন। আর এটার মাধ্যমেই অর্জন হয় নাজাত।

সে কাজ যদি এক মুহূর্তের হয় তবুও।

(পুরো প্রবন্ধটি উস্তাদ আলী হাম্মুদার – ‘The Gates to Paradise are not always obvious ones’ লেকচারের অনুকরণে লিখিত।)