নর্থ সাউথের যে ছেলেটি গতকাল হাতিরঝিলে বাস এক্সিডেন্টে মারা গেলো তাকে কিছুটা চিনতাম। বুয়েটের রেজিস্টার (রিটায়ার্ড) তাহের আংকেলের ভাতিজার ছেলে।

উনিশ বছরের ছেলেটি মারা যাওয়ার মাত্র ১৫ মিনিট আগেও তার বাবার সাথে কথা বলেছে।

বাবা জিজ্ঞেস করেছেন, আর কতক্ষণ লাগবে বাসায় আসতে? ছেলে জবাব দিয়েছিল, এইতো কাছাকাছি চলে এসেছি। ১০ মিনিটের মত লাগবে। ১০/১৫ মিনিট পর সেই ছেলের মোবাইল ফোন থেকেই কল করে জানানো হয় তার মৃত্যুর খবর। (আল্লাহ তাকে জান্নাতুল ফিরদাউসে স্থান দিন।)

আজ জানাজার নামাজের পর কথাগুলো বলতে বলতে অঝোরে কাঁদছিলেন বাবা। ১২ বছর বয়সি ছোট বোন কোনভাবেই লাশ কবরে নামাতে দিবে না। তার বিশ্বাসই হচ্ছিল না, তার ভাই আর নেই।

মৃত্যু এভাবেই কারো ঘাড়ের কাছে নিশ্বাস ফেলে। কিন্তু সে হয়তো তখন আগামী ২০/২৫ বছরের প্ল্যান নিয়ে ব্যস্ত। খুব শীঘ্রই তাওবা করবো, হজ করে এসে ভাল হয়ে যাব, পরীক্ষাটা শেষ হলেই আর নামাজ কাজা করবো না—নিজের সাথে করা এই প্রতারণাগুলো একদিন এত ভারি মনে হবে—

"নিজের হাত কামড়ে সেদিন অপরাধীরা বলবে, হায় যদি রাসুলের পথ ধরতাম" [সুরা ফুরকান]