বিপদের অতৃপ্ত হাহাকার ছুয়ে যায়,
ক্লান্তি যেন নিজেকে অসহায়ত্বের তীরে ভেড়ায়।
কতো মেঘ গেছে উড়ে সুখের,
তবুও বৃষ্টি বিহীন আমার প্রান্তর কষ্টের।
সব গুনে দেখি শুধু আমি এক মাত্র,
হিসেবের মাঝে যেন মহাশূন্য ।
প্রশ্ন করি কেন এই বিদীর্ণ সময় আমার,
জন্মই কি আমার আজন্ম অভিশাপ!

তারপর চোখ খুলে একটু তাকানো,
অসম্ভব পরিপূর্ণ মানের এক জীবন কষ্টে সাজানো।
ক্রান্তি কালে সব দিকভ্রান্ত প্রাণের,
যে এক মাত্র কাণ্ডারি,
সে কাটিয়েছে জীবন অনাহারী।
সম্পদ, ক্ষমতা সব চাহিদা দূরে ছুড়ে,
পিঠ পেতেছেন কণ্টকাকীর্ণ তপ্ত বালু চড়ে।
উম্মতের শুধু উম্মতের জন্য রাত্রি দীর্ঘ মোনাজাত,
চেয়েছেন যেন ধ্বংস না হই আমরা,
পেয়ে কৃতকর্মের অভিশাপ।
কি নিদারুণ কষ্ট বুকে চেপে,
প্রাণের জন্মভূমিকে বিদায় জানিয়ে,
অন্ধকারের ঐ আলোকদায়িনী চাঁদের মতো,
সহ্য করেছেন অমোঘ একাকীত্ব ।
শুধু তাওহীদের বাণীর জন্য সেদিন উন্মুক্ত রাজপথে,
শুভ্র শরীর হয়েছিল রক্তাক্ত,
আকাশ, পাহাড় আর সেই ধুলি পথ সেদিন আর্তনাদে ভেসেছিল,
অথচ রক্তাক্ত হাত তুলে মাফ চেয়েছেন জুলুমকারীর জন্য,
কি অসামান্য,
কি অদ্ভুত মায়ায় অভ্যন্তরীণ আত্মা পরিপূর্ণ,
আমার রাসূল,
এই মানুষের বানী আর জীবনীই হবে
আমার এক মাত্র আদর্শ অনুকরণীয় ।
আজ সেই রক্তাক্ত প্রান্তরে,
অজস্র প্রাণ নবীর নামে সালাওয়াত পড়ে।

এতো দিন কতো বক্তব্য কতো কথা,
ঝুলিয়ে, সাজিয়ে ভর্তি করেছি মনের দেয়াল,
ঘুণে ধরা দৃষ্টি খুলে দেখিনি যা সত্য
অনির্দিষ্ট কিংবা অনাগত,
সব অনিষ্টের বিপরীতে,
আমার রাসূলের বানীই সর্বোৎকৃষ্ট।

কতো হল হালের চালক হয়ে এডালে ও ডালে চলা,
এবার,
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম বলে,
হোক তবে ফেরা।।