জেনারেল শিক্ষিত যেসব ভাই বোনেরা ইসলাম পালন করেন, তাদের বেশিরভাগই জীবনের একটা পর্যায়ে এসে ইসলাম পালন শুরু করেন। তাদের দ্বীনি পড়াশোনা এবং জানার মূল সোর্স হয় বই পুস্তক, ইউটিউবের লেকচার ইত্যাদি। ফলে দ্বীনের অন্যান্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং উচ্চমার্গীয় ইলম তারা অর্জন করতে সক্ষম হলেও যে ব্যাসিক বিষয়টা তারা মিস করেন সেটা হলো তাজউইদ—শুদ্ধভাবে কুরআন পড়তে পারা। যেহেতু তারা জীবনের একটা পর্যায়ে এসে দ্বীন পালন করা শুরু করেন, বেশিরভাগই ছোটবেলায় মক্তবে গিয়ে শুদ্ধভাবে কুরআন পড়তে শিখেননি, কিংবা যারা ছোটবেলায় শিখেছেন তারা চর্চার অভাবে ভুলে গেছেন। আর এটা এমন এক বিষয় যেটা বই পড়ে কিংবা ভিডিও দেখে আয়ত্ব করা যায় না।

অনেকে লজ্জায় পড়ে শিখতে আগ্রহী হন না। আবার অনেকে দ্বীনের অনেক বিষয়ে বুঝ রাখেন, মানুষের কাছে দ্বীনি হিসেবে ভালো পরিচয় আছে এই অবস্থায় "এত কিছু বোঝে অথচ কুরআনটাই পড়তে জানে না"—এই অসম্মানের ভয়ে মক্তবে গিয়ে, কোনো হাফিযের কাছে গিয়ে শুদ্ধভাবে কুরআন পড়াটা শিখবেন—এই হিম্মত করে উঠতে পারেন না। ফলাফল হিসেবে একটা প্রজন্ম তৈরি হয়ে যাচ্ছে যারা বাহ্যিকভাবে দ্বীন পালন করেন, দ্বীনের অনেক বিষয়েই তারা ভালো ইলম রাখেন, কিন্তু কুরআনের সাথে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা কুরআন পড়েন না, কিংবা পড়তে পারেন না।

অথচ কুরআন পড়ার সময় সেটা শুদ্ধ হওয়াটা ফরযে আইন, অর্থাৎ ব্যক্তিগতভাবে সবার উপর ফরয। আর যে দ্বীন পালনে কুরআন নেই, সেই দ্বীনের মূল্য কী! যে জীবনে কুরআন নেই, সে জীবনের অর্থ কী!

সামনে রামাদান মাস আসছে। কুরআনের মাস। যারা এখনো কুরআন পড়তে জানেন না, শুদ্ধভাবে কুরআন তিলাওয়াত করতে পারেন না, দয়া করে শিখে ফেলুন। লজ্জা আর সঙ্কোচ দূরে সরিয়ে ফেলুন, আল্লাহর কাছে দুআ করুন, আল্লাহ্‌ যেন সহজ করে দেন। না হলে একদিন আফসোস করবেন, কিন্তু সেদিন কিছুই করার থাকবে না।